কলকাতা : টোকিও অলিম্পিক আদৌ হবে কিনা সেই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ভারতেও অ্যাথলিটরা এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটির ওপর।
আইওসি (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) যে বিস্তর চাপে রয়েছে অলিম্পিক নিয়ে সেটি না বললেও চলে। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকাও বয়কটের ডাক দিতে পারে।
ইতিমধ্যেই আইওসি প্রেসিডেন্ট থমাস বাচ ইঙ্গিত দিয়েছেন অলিম্পিক এবারের মতো বাতিল ঘোষিত হতে পারে। কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের দেশের অ্যাথলিটদের পাঠাবে না। অনেক দেশই বয়কটের পথে।
ব্রিটিশ সাইক্লিস্ট ক্যালাম স্ক্রিনার আইওসি শীর্ষ পদাধিকারীকে আক্রমণ করে জানিয়েছেন, বাচ নিজের মর্জিমতো অলিম্পিক আয়োজন করতে চাইছেন। তিনি তাঁকে উদ্ধতও বলেছেন।
“আমাদের এই বিষয়ে বলা নিষেধ রয়েছে। কেননা আমাদের আইওএ-র নির্দেশিকা মেনে চলতে হয়। কারণ আমাদের অলিম্পিক সংস্থা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তার আগে আমাদের এই বিষয়ে কথা বললে শোকজের মুখে পড়তে হতে পারে,” জানালেন নামি এক অ্যাথলিট।
মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক থেকেই এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ আসার পরেই মুখে কুলুপ দিয়েছেন অ্যাথলিটরা।
আরো একজন অ্যাথলিট জানালেন অতনু দাসও জানালেন, আমাদের এই বিষয়ে কিছু বলতে বারণ করা হয়েছে। কারণ এটা পুরোটাই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বিষষ। আমরা জানি করোন ভাইরাস নিয়ে সব জায়গায় একটা অশান্তকর পরিস্থিতি। কিন্তু অলিম্পিক না হলে কী হতে পারে, বা অলিম্পিক বয়কট করা হবে কিনা, সেটি পুরোটাই দেশের অলিম্পিক সংস্থার বিষয়।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান কো বলেছেন, টোকিও অলিম্পিক বাতিল ঘোষিত করা উচিত। কেননা এই পরিস্থিতিতে আসর বসলে সেটি অ্যাথলিটদের পক্ষে ভাল হবে না।
আইওসি একটি প্রেস রিলিজে জানিয়েছে, দেশের অ্যাথলিটরা অলিম্পিকের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে পারছে না। তারা রয়েছ ঘরবন্দী।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীও শিনজো আবে আভাস দিয়েছেন একান্তই সেরকম হলে অলিম্পিক স্থগিত করতে হতে পারে। এই নিয়ে সোমবার টোকিওতে জাপান অলিম্পিক কমিটির মুখ্য আধিকারিক যোশিরো মইরিও মনোযোগ দিয়ে মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে গেমস স্থগিতের ভাবনা নিতে শুরু করেছেন।