মুম্বাই : সারা বিশ্বকে একজোট হতে সাহায্য করেছে করোনা ভাইরাসের মতো মারণ রোগ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই দুঃসময়ে যতটা পারছেন পাশে থাকছেন সাধারণ মানুষের।
ক্রীড়াবিদরাও এর বাইরে নেই। ইতিমধ্যেই লিওনেল মেসি থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কিংবা রজার ফেডেরার থেকে পেপ গুয়ার্দিয়লার মতো কোচও বিপুল অর্থ দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এবার সেই দলে নাম লেখালেন ভারতীয় ক্রীড়ামহলের রত্ন শচীন তেন্ডুলকার। শুক্রবার তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০ লক্ষ টাকা দান করলেন করোনা তহবিলে। শচীনের এই দান ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে শচীন ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, ‘‘ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে শচীন ২৫ লক্ষ টাকা করে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’’ এর আগে একাধিকবার শচীন সমাজসেবার কাজে এগিয়ে এসেছেন।
অনেকক্ষেত্রে তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে সেবামূলক কাজ করেছেন। মুম্বাইতে তিনি আপনালয়া নামে একটি সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানেরও দেখভাল করেন। অনাথ শিশুদের নিয়ে তৈরি ওই সংস্থায় তিনি অর্থ সাহায্য করেন গত ১৫ বছর যাবৎ।
করোনার করাল গ্রাস থেকে রাজ্য তথা দেশকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যেই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে রাজ্য সরকারকে ইডেন ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন মহারাজ। দুঃস্থ পরিবারগুলিকে ৫০ লক্ষ টাকার চালও দিচ্ছেন দাদা। এবার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেন শচীনও।
এদিকে, বরোদা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে চার হাজার মাস্ক বিলি করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান ও ইউসুফ পাঠান। করোনা রুখতে পুণের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দুঃস্থদের জন্য এক লক্ষ টাকা পৌঁছে দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও।
এদিন ৪২ লক্ষ টাকা অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থাও। প্রধানমন্ত্রীর করোনা ত্রাণ তহবিলে ২১ লক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২১ লক্ষ টাকা দেবে সংস্থা।
বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল সাংসদ লক্ষ্মীরতন শুক্লা তাঁর তিন মাসের বেতন এবং বিসিসিআই থেকে পাওয়া পেনশন রাজ্যসরকারের খাতে অনুদান হিসেবে দিলেন। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াও পাঁচ লক্ষ টাকা দান করেছেন।
এমনকি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চু্ক্তিতে থাকা মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাসের মতো ১৭ জন ক্রিকেটার তাঁদের বেতনের অর্ধেক অনুদান হিসেবে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া চুক্তির বাইরে থাকা যে ১০ ক্রিকেটার গত তিনমাস নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, তাঁরাও দেবেন বেতনের ৫০ ভাগ।