দোহা (কাতার ): প্রি-ওয়ার্ল্ড কাপে ২৬ মার্চ ভারত ও কাতারের মধ্যে ভুবনেশ্বরের ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। কারণ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত রোগ মহামারীর রূপ নিয়েছে। সেই কারণে বাড়তি সতর্কতার কারণে ওই ম্যাচটি বাতিল করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ )।
কাতার সরকার ইতিমধ্যেই ১৪টি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই তালিকায় ভারতও রয়েছে। তাই দেশের ফুটবল দলকে পাঠানোর বিষয়ে তারা সতর্কতা চায়। কারণ চীন থেকে আসা এই ভাইরাস ভারতেও এসেছে।
এছাড়াও যে ১৩টি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলি হল, বাংলাদেশ, চীন, মিশর, ইরান, ইরাক, লেবানন, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া ও থাইল্যান্ড। এমনকি কাতার সরকার এই মুহূর্তে ভিসা দেওয়ার বিষয়েও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে।
সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই এআইএফএফ আভাস দিয়ে রেখেছিল ভুবনেশ্বরের ম্যাচটি বাতিল হতে পারে। তারা মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশনের বিষয়েও গড়িমসি করছিল। কারণ ম্যাচটি আদৌ হবে কিনা সেই নিয়ে জটিলতা ছিল। তারপরেই এএফসি একটি ইমেল করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানায় ফেডারেশনকে। তারপরই তারা নতুন কোনও দিন ধার্য করবে বলে জানিয়েছে।
ভারতীয় দলেরও ম্যাচটির এক সপ্তাহ আগে কটকে পৌঁছে গিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। সেটিও নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি করোনা ভাইরাস COVID-19 এটি সম্পর্কে ফিফাও যে চিন্তিত, সেটিও এএফসি তাদের রিলিজে প্রকাশ করেছে।
ফিফার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (WHO) সঙ্গে আলোচনা করেছে এই ব্যাপারে। যে কারণে এশীয় পর্যায়ের যে কোনও ফুটবল টুর্নামেন্ট করার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করেছে এশীয় ফুটবল কনফেডারেশন।
শুধু তাই নয়, ভুবনেশ্বরের ম্যাচটি ছাড়াও ৩১ মার্চ তাজিকিস্তানের মধ্যে ম্যাচটিও বাতিল ঘোষিত হয়েছে। ওই ম্যাচটি ইগর স্টিম্যাশ প্রশিক্ষণাধীন দলের খেলতে যাওয়ার কথা ছিল তাজিকিস্তানের মাঠে। তার কারণও করোনা ভাইরাস। যেভাবে সমগ্র সমাজে, এমনকি খেলার মাঠেও এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটিও ভাবাচ্ছে ফুটবল কর্তাদের। কেননা দুটি ম্যাচের সূচী বদলের পরে নতুনভাবে কী করে ফের দিন ধার্য করা যায়, সেটিও এখন চিন্তার বিষয়।
পাশাপাশি এআইএফএফ থেকে দলের কোচ থেকে শুরু করে ফুটবলারদের বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা কোনওভাবে না জানিয়ে যেন দেশ না ছাড়েন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এশিয়াতেও বেশি।