অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল টোকিও শহরেই, এবছরই ২৪ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত।
টোকিও (জাপান): আগামী বছর ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে ২৩ জুলাই। চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এমনকি প্যারালিম্পিক হবে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর।
সোমবার এই দিনগুলি ঘোষণা করেছেন জাপান টুর্নামেন্ট কমিটির শীর্ষ আধিকারিক যোশিরো মোরি। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, আমরা আইওসি-র (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের জেরে পিছিয়ে গিয়েছিল অলিম্পিক। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সামনের বছর হতে পারে এই মেগা আসর। সেইসময় দিন জানানো হয়নি। সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান কো-ও জানিয়েছিলেন, আইওসি এবং জাপান আয়োজক কমিটির উচিত অবিলম্বে অলিম্পিকের দিন জানানো। কারণ তার ওপর বিশ্বের বাকি অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টের সূচী নির্ভর করছে।
গত ২৪ মার্চ এই টুর্নামেন্ট একবছর পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইওসি। তার আগেরদিনই জাপান প্রধানমন্ত্রীর তরফেও বলা হয়েছিল অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে অ্যাথলিটদের কথা ভেবেই। আইওএ জানিয়ে দেয়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে টোকিওতে বসবে অলিম্পিকের আসর।
ওই দিনই সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে এবং আইওসি-র প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ বৈঠকে বসেছিলেন। তখনই ধরে নেওয়া গিয়েছিল কী হতে চলেছে। সেটাই হয়।
এবছরই ২৪ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল টোকিও শহরেই। অলিম্পিক স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য জাপান সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২.৬ মিলিয়ন ডলার। কারণ এই মেগা ইভেন্টের সঙ্গে স্পনসর, ভিলেজের ব্যবস্থা, হোটেল বুকিং ও নানা আনুষঙ্গিক বিষয় জড়িয়ে থাকে। এমনকি অ্যাথলিটদের নিরাপত্তার জন্য বহু অর্থ ব্যয় করতে হয়।
সব থেকে বড় কথা, যেহেতু অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। সেইজন্য মেগা আসরের ট্যাগ লাইন একই রাখা হচ্ছে, সে যতই ২০২১ সালে সেটি হোক না কেন।
বিশ্বের সব অ্যাথলিটই এখন লকডাউনের জেরে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। সেই কারণে অলিম্পিকের মতো ইভেন্টে নামতে গেলে যে প্রস্তুতি করার কথা, সেটি করা হচ্ছে না। মানসিক অস্থিরতার মধ্যে যে এমন আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা যায় না, সেই কথাও জানানো হয়েছিল নানা ক্ষেত্র থেকে।