মুম্বাই: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সরকারি ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ যাচ্ছেন নামী প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকার। তাঁর সঙ্গে আর চুক্তির পুনর্নবিকরণ করা হবে না।
ভারতের কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে তো নয়ই, পাশাপাশি আইপিএলেও তাঁকে দেখা যাবে না ধারাভাষ্য দিতে। মঞ্জরেকারকে বাদ দেওয়ার পিছনে মূলত দুটি কারণ।
এক তাঁর পারফরম্যান্স ভাল নয় কমেন্ট্রি বক্সে, দ্বিতীয়ত, তিনি বারবার বিতর্কে জড়িয়ে নিজের ইমেজ নষ্ট করেছেন।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধরমশালায় বৃষ্টিবিঘ্নিত যে ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। সেই ম্যাচের সময় ধারাভাষ্য প্যানেলে ছিলেন সুনীল গাভাসকার, শিবরামকৃষ্ণান ও মুরলী কার্তিক। কিন্তু ছিলেন না মঞ্জরেকার।
সেইসময়ই কানাঘুষো চলতে থাকে, মঞ্জরেকারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারপরেই মুম্বাইয়ের একটি দৈনিক এই নিয়ে খবর করতেই বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, মঞ্জরেকারকে আইপিএলে থেকেও বাদ দেওয়া হতে পারে। আপাতত আমাদের চিন্তায় সেটা নেই, তবে এটাও সত্যি তাঁর কাজে আমরা খুশি না।’ গত বছর দুইবার বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন মঞ্জরেকার। প্রথমে বিশ্বকাপের আগে রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘সীমিত ক্ষমতার ক্রিকেটার’ বলেছিলেন। তারপরেই জাদেজা বিধ্বংসী ফর্মে বিরাজ করে তাঁকেই ব্যাট দেখিয়ে ইঙ্গিত করেন। মনে করা হয়েছিল জাদেজাও ভালমতোন নেননি প্রাক্তন নামী ক্রিকেটারের উক্তি।
এমনকি একটি ম্যাচে কমেন্ট্রি করার সময়ও নামী ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন সঞ্জয়।
তিনি বলেছিলেন সেবার, পেশাদারী ক্রিকেট সম্পর্কে হর্ষের তেমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই। সেই কারণেই তিনি এমন যুক্তি দেখাচ্ছেন। এরপরেও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়। এমনকি মঞ্জরেকারকে ট্যুইটারে এরজন্য সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে। তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন বোর্ডের শীর্ষ আধিকারিকরাও। ওই ঘটনার পরে মঞ্জরেকার ক্ষমা চাইলেও সেই কালো দাগ যায়নি।
ভারতের সিরিজ মানেই কমেন্ট্রি বক্সে কয়েকটি পরিচিত মুখ থাকতেন। এদের মধ্যে মঞ্জরেকারও সমানভাবে আলোচিত হতেন। যতটা না বিশ্লেষণী ধারাভাষ্যের জন্য, তার চেয়েও বেশি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে। টুইটারেও আলোচনার ঝড় তোলেন বিতর্কিত বিষয়ে।
তাঁর থেকেও তাৎপর্য্যের বিষয় হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছে ক্রিকেটের আলোচনার ফাঁকে মঞ্জরেকার রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েও মনোরঞ্জন দেখিয়েছেন। কারণ তিনি ভাল সঙ্গীত পরিবেশন করেন, এটি ক্রিকেটমহলে সকলেই জানেন। তাঁর কন্ঠে কিশোর কুমারের গানও খুব জনপ্রিয়।