কলকাতা ময়দানের নামী বিদেশী ক্রোমা এই মুহূর্তে রয়েছেন কলকাতার বাড়িতে। তাঁর মার্চ মাসের শেষে লাইবেরিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল।
কলকাতা: মা-কে শেষ দেখা দেখতে পেলেন না আনসুয়ামা ক্রোমা। সোমবার রাতে লাইবেরিয়ায় নিজের বাড়িতে ক্রোমার মায়ের জীবনাবসান ঘটেছে। অনেকদিন ধরে তিনি ভুগছিলেন কোলন ক্যান্সারে। বয়স হয়েছিল ৬৬।
কলকাতা ময়দানের নামী বিদেশী ক্রোমা এই মুহূর্তে রয়েছেন কলকাতার বাড়িতে। তাঁর মার্চ মাসের শেষে লাইবেরিয়ায় দেশের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এই সময় আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায় তিনি যেতে পারেননি। রয়েছেন বাইপাসের ধারে কালিকাপুরের ফ্ল্যাটে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানালেন, ‘‘আমি ভাবতেই পারছি না মা নেই। তিনি আমার জীবনের অর্ধেক ছিলেন। আজ যে আমি ফুটবলার হতে পেরেছি, সেটা ওঁরই জন্য। আমি মা-কে শেষ দেখা দেখতেই পেলাম না।’’ এমনকি মা-র সঙ্গে ক্রোমার শেষ কথা হয়েছে গত শনিবার। তারপর মা যে এত অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তিনি জানতেই পারেননি।
ক্রোমার বাঙালি স্ত্রী পূজা সন্তানসম্ভবা। সেই কারণেই ক্রোমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়নি লাইবেরিয়ায়।
এই প্রসঙ্গেই তিনি বলছিলেন, “মা-কে দেখভালের জন্য আমার একটা বোন ছিল। পাশেই থাকেন আমার কাকা। আমি ওঁদের ভরসাতেই ছিলাম। মা-র শরীর যে এভাবে খারাপ হয়ে যাবে, সেই কথাটিও আমাকে জানতে দেওয়া হয়নি। সেই জন্যই মনটা ভাল লাগছে না।”
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের জন্য দেশে ও বিদেশে কোনও বিমানই উড়তে পারছেন না। তাই ক্রোমার পক্ষে দেশে মায়ের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
ক্রোমা এই দুঃসংবাদ জানিয়ে ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, ‘‘মা আমি কান্না থামাতে পারছি না। কেন এ সময় চলে গেলে আমাকে ছেড়ে? আমি জানতেই পারলাম না, তোমার সঙ্গে আমার শেষ কথাও হলো না। আমি অত্যন্ত বেদনাহত। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন শান্তিতে ঘুমোন।’’
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেছিলেন ক্রোমা। কিন্তু কোচের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁকে কর্তারা সরিয়ে দেন। ক্রোমার বদলেই দলে আসেন ডিফেন্ডার মার্কোস। গতবছর ক্রোমার দারুণ পারফরম্যান্সে ভর করেই পিয়ারলেস কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।