পিকে-র নিজের শহরের কোনও ফুটবলপ্রেমীরা যা করে উঠতে পারেননি, কেরালার কালিকটে সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন মালাবার ক্রিশ্চান কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক এম এ ভাশিষ্ট।
কলকাতা: শহর কলকাতা ছাড়িয়ে এবার কেরালাতেও পৌঁছে গেল পি কে ব্যানার্জি আবেগ। দুইদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি। কিন্তু পিকে যে ভারতীয় ফুটবলের মহীরুহ ছিলেন, সেটি বোঝা গেল তাঁর মৃত্যুর পরেও। বাংলার গন্ডি ছাড়িয়ে তাঁকে নিয়ে ভালবাসার রাজপ্রাসাদ হল দক্ষিণ ভারতের এক শহরেও।
কেরালার মালাবার ক্রিশ্চান কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক ভাশিষ্ট ইতিমধ্যেই পিকে নিয়ে একটি পোস্টার প্রকাশ করে ফেলেছেন।
ভাশিষ্ট আদ্যন্ত এক ফুটবলপ্রেমী। তার থেকেও বড় বিষয় তিনি মালাবার কলেজে একটি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থাগারও গঠন করেছেন। সেই গ্রন্থাগারে রয়েছে নানা ধরনের পুস্তকের সম্ভারও।
পিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি আলোচনা সভারও আয়োজন করেছিলেন এই অধ্যাপক।
সেখানে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে অনুষ্ঠান করেছিলেন। কেরালা থেকে ভাশিষ্ট খেল আপডেটস-কে জানালেন, ‘‘পিকে ব্যানার্জির জীবনাবসানে এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হল। নতুন প্রজন্ম যাতে করে এই কিংবদন্তির অবদান সম্পর্কে জানতে পারে, সেই সচেতনতার কারণেই আমার এই উদ্যোগ।’’
ফুটবলার ও কোচ হিসেবে পিকে বহুবার দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছেন। কালিকটে ফেডারেশন কাপের আসরেও তাঁকে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ভূমিকায়। এমনকি বশিষ্ট প্রথম পিকে-কে চাক্ষুস দেখেন ১৯৯০ সালের কান্নুরে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে। সেই ম্যাচে পিকে ছিলেন বিশেষ অতিথির ভূমিকায়। সরাসরি কথা বলার সুযোগ না ঘটলেও পিকে-র সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন।
সেই থেকেই তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। এমনকি পিকে নিয়ে নানা বই পড়ে তাঁর প্রতি অনুরক্ত হয়ে উঠেছিলেন ৬০ বছরের এই প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ। তিনি পিকে নিয়ে এই পোস্টার প্রকাশ করে গ্রামে গ্রামে প্রচারের কাজ করবেন। যা থেকে নয়া প্রজন্ম বুঝতে পারে পিকে-র মতো কিংবদন্তিদের কদর।
কেরালার এই অধ্যাপক বলেছেন, ‘‘আমি ১৯৬৬ সালে জম্মগ্রহণ করেছি। আর ১৯৬২ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ভারত সোনা পেয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথম গোলটি করেছিলেন রাইটআউট পিকে। আমি সেই ম্যাচেরও গল্প শুনেছিলাম আমার বাবা শ্রীধরণ ভাশিষ্ট-এর কাছে।
“এমনকি ১৯৭৭ সালে ইডেনে কসমসের বিপক্ষে তাঁকে মোহনবাগানের কোচ হিসেবে দেখে আমি আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম। ওই ম্যাচে যাওয়ার সুযোগ এলেও শেষমেশ সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। কিন্তু পিকে ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের প্রকৃত অর্থের হেডমাস্টার, সেটি আমি একজন শিক্ষক হিসেবেও উপলব্ধি করতে পারি।’’
কেরালার এই ফুটবলপ্রেমী অধ্যাপক মানুষটি চান পিকে-র নামে ফেডারেশন একটি টুর্নামেন্ট করুক। শুধু তাই নয়, আগামীবার আইএসএলের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও পিকে-র নামে চালু হোক।
ভাশিষ্ট মনে করেন, ‘‘প্রদীপ ব্যানার্জি এমন এক মহাব্যক্তিত্ব, যিনি নিজেই এক প্রতিষ্ঠান ছিলেন। তাঁর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে ফেডারেশন কর্তাদের এই উদ্যোগ নিতেই হবে।’’
Beautiful Story,brilliant narration
Layout is also fantastic
The author is a born journalist and his master craft is evident each and every word,each and every sentence
Thank you for your kind and encouraging words. We would request you to visit our website, FB page (@kkhelupdates) and twitter (@khelupdates) as we cover the best of sports news from India, Qatar and world. Regards