ইংল্যান্ডের মাটিতে একাই ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করে অবিশ্বাস্য এক কীর্তিও গড়েছিলেন। তবুও তখনও স্টিভের কলঙ্ক ছিলই।
সিডনি : অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরে পেতে স্টিভ স্মিথকে দলের বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে লড়তে হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমান অধিনায়ক টিম পেইন।
বল বিকৃতির জন্য ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টের সময় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তৎকালীন দলের নেতা স্টিভ স্মিথ। সেই নিষেধাজ্ঞা শেষে বিশ্বকাপও খেলেছেন স্মিথ।
ইংল্যান্ডের মাটিতে একাই ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করে অবিশ্বাস্য এক কীর্তিও গড়েছিলেন। তবুও তখনও স্টিভের কলঙ্ক ছিলই। বল বিকৃতি কান্ডের শাস্তিস্বরূপ স্টিভকে একবছর দল নিয়ে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল। আর দুইবছর তিনি দলের নেতৃত্ব দিতে পারবেন না, এটিও জানিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি শাস্তির মেয়াদ থেকে মুক্ত তিনি। এবার তিনি জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে পারবেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যদি চায় এবং স্মিথ আগ্রহী হন, তবে অজিদের নেতা হতে বাধা নেই স্মিথের।
স্মিথের অনুপস্থিতিতে দলকে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টিম পেইন। পেইনের বয়সটা যেহেতু বাধা, তাই আবারও তরুণ স্টিভকে দলের অধিনায়ক পদ ফিরিয়ে দিতে উন্মুখ অনেকেই।
যদিও পেইন এই বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, অধিনায়কত্ব বিষয়টি আমার ঠিক করার কথা নয়, এটি দলের ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা ঠিক করবেন। তবে তিনি যে স্টিভ ফিরলে অখুশি হবেন, তেমন কিছু মনে হয়নি।
কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য এখনও পেইনেই মুগ্ধ এবং তাঁর ধারণা স্মিথ এখনো দলকে টানার চাপ নিতে আগ্রহী হবেন না হয়তো।
তবে স্মিথ দায়িত্ব পেলেও সেটা হয়তো আপাতত শুধু টেস্টের জন্য। কারণ ওয়ান ডে এবং টোয়েন্টি ২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব উপভোগ করছেন অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর নেতৃত্বে দল ভালোই করছে। সূচি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া পরের টেস্ট সিরিজটি খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। প্রসঙ্গত, স্টিভ ছাড়াও এবার টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবিদার রয়েছেন ট্রেভর হেড, অ্যালেক্স ক্যারি কিংবা প্যাট কামিন্সও রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শেষ হলে হয়তো জুনে বাংলাদেশ সফর দিয়েই নতুন যাত্রা হবে স্মিথের। যদিও স্মিথ বলেছেন, ‘‘আপাতত করোনার সময়টা নিজেকে ফিট রাখাতেই মন দিচ্ছেন। এ সময়টা আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আইপিএলও অনিশ্চিত বলা যেতে পারে।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘আমার ধারণা সব দেশের যে কোনও স্পোর্টস ইভেন্টই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে না এটা (আইপিএল হওয়া) সম্ভব। আগামী কয়েকদিনের ওপর সবটাই নির্ভর করছে।’’