চৌহান নিজের মর্জিমতো ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় দাবা সংস্থার নির্বাচনও করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো প্যানেলও তৈরি করেন।
কলকাতা: সর্বভারতীয় দাবা ফেডারেশনের সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ভরত সিং চৌহানকে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই পদে ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দিলেন সংস্থার প্রেসিডেন্ট ভেঙ্কট রাম রাজা।
ঘোষণার পরে থেকে দাবা সংস্থার আর কোনও কাজ করতে পারবেন না চৌহান।
এর আগে চৌহানকে কেন্দ্র করে নানা বিতর্ক হয়েছে। বলা হয়েছিল, তিনি নিজের ক্ষমতা বলে দাবা সংস্থার আওতাভুক্ত যত দাবাড়ু রয়েছেন, তাদের নানা তথ্য বহুজাতিক সংস্থাকে দিয়েছেন বহু অর্থের বিনিময়ে। এই নিয়ে শোকজও করা হয়েছিল চৌহানকে। কিন্তু তিনি এই নিয়ে কোনও জবাব দেননি।
এমনকি তিনি নিজের মর্জিমতো ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বভারতীয় দাবা সংস্থার নির্বাচনও করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো প্যানেলও তৈরি করেন। এমনকি স্পেশাল অফিসারদের প্রভাবিত করে একটি দিনও ধার্য করেছিলেন।
তিনি চেয়েছিলেন সংস্থার সভাপতি পদ থেকে রাজাকে সরিয়ে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি করানোর।
কারণ বাংলা রাজ্য দাবা সংস্থার নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মাস্টার অতনু লাহিড়ীর প্যানেল জয়ী হওয়ার পরেই চৌহানের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে সভাপতির ওপর। চৌহান মনে করে এসেছেন রাজার মদতেই দিব্যেন্দু বড়ুয়ার হার ও অতনুর জয় হয়েছে। তাই চৌহান চেয়েছিলেন রাজাকে কোনওভাবে সরানোর।
সেই মতো আদালতে গেলে তাঁর অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, দাবা সংস্থার নির্বাচন তখনই হবে যদি আপনি আপনার বিরুদ্ধে আনা নোটিসের জবাব দেন।
এমনকি বিরোধী প্যানেল রয়েছে কিনা, সেটি দেখেই আমরা নির্বাচনের দিন দিতে পারব। এই কথা শুনে চৌহান পিছিয়ে এলেও ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন ভালই। এমনকি তিনি সভাপতি করতে চেয়েছিলেন গুজরাটের এক রাজনীতিকের ছত্রছায়ায় থাকা ব্যক্তিকে। কিন্তু সর্বভারতীয় সংস্থা সরিয়ে দেওয়ায় তিনি কী করবেন, সেটিই এখন রহস্যের।
বাংলা রাজ্য দাবা সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক অতনু লাহিড়ী যদিও জানালেন, “আমরা যেমন দিব্যেন্দু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়েছে। একই ভাবে সেই রাস্তাই বেছে নেব চৌহানের বিরুদ্ধেও। তাই ওনার পথ সহজ হবে না।”